প্রণয়নকারী: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
কার্যকর তারিখ: ১ জুলাই, ২০০৯
এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা, যাতে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথ্য: যে কোনো রূপে সংরক্ষিত কাগজপত্র, নথি, প্রতিবেদন, পরিসংখ্যান, চিঠিপত্র, ছবি, ভিডিও, ডিজিটাল ফাইল ইত্যাদি।
সরকারি কর্তৃপক্ষ: সংবিধান বা কোনো আইনের মাধ্যমে গঠিত সরকারী, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান; এনজিও যারা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি বিদেশি অনুদান পায়।
তথ্য জানার অধিকার: সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তথ্য দেখা, কপি নেওয়া, পর্যবেক্ষণ করা, অথবা সেই তথ্যের সার্টিফায়েড কপি নেওয়ার অধিকার।
নির্ধারিত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত বা ইলেকট্রনিকভাবে আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্রে স্পষ্টভাবে কী তথ্য চাওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করতে হবে।
সাধারণভাবে ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য দিতে হবে।
জীবন বা স্বাধীনতার প্রশ্ন থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য দিতে হবে।
প্রতিটি দপ্তরে একজন তথ্য প্রদানকারী নির্ধারিত কর্মকর্তা থাকতে হবে।
আপীল গ্রহণের জন্য একজন আপীল কর্তৃপক্ষ-ও নিয়োগ করতে হবে।
নিচের তথ্য দেওয়া থেকে কর্তৃপক্ষ বিরত থাকতে পারবে:
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
চলমান তদন্ত বা বিচার
বাণিজ্যিক গোপনীয়তা ইত্যাদি
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য না পেলে আপীল কর্তৃপক্ষ বরাবর আপীল করা যাবে।
প্রয়োজনে তথ্য কমিশন বরাবর অভিযোগ করা যাবে।
একটি স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যারা এই আইনের বাস্তবায়ন তদারকি করে।
তদন্ত, জরিমানা, নির্দেশ প্রদানসহ আইনি ক্ষমতা রাখে।
তথ্য প্রদানে অযথা বিলম্ব, মিথ্যা তথ্য প্রদান বা অনিচ্ছা দেখালে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক
তথ্য চাওয়ার জন্য কোনো কারণ দেখানোর প্রয়োজন নেই
আবেদনপত্রে নিচের তথ্য থাকতে হয়:
আবেদনকারীর নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা
কোন দপ্তর বরাবর আবেদন
কোন তথ্য চাওয়া হচ্ছে
কোন মাধ্যমে (হার্ড কপি, ইমেইল, CD) তথ্য পেতে চান
সরকারি প্রকল্পের বাজেট বা অগ্রগতির তথ্য জানতে
চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্য জানতে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বা নীতিমালা জানতে
রাস্তা, স্বাস্থ্যসেবা বা সেবাদান সংস্থার কাজ জানতে
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS