Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

The Right to Information Act, 2009

📘 তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯

প্রণয়নকারী: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
কার্যকর তারিখ: ১ জুলাই, ২০০৯

🎯 উদ্দেশ্য:

এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা, যাতে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

📌 মূল সংজ্ঞাসমূহ:

  • তথ্য: যে কোনো রূপে সংরক্ষিত কাগজপত্র, নথি, প্রতিবেদন, পরিসংখ্যান, চিঠিপত্র, ছবি, ভিডিও, ডিজিটাল ফাইল ইত্যাদি।

  • সরকারি কর্তৃপক্ষ: সংবিধান বা কোনো আইনের মাধ্যমে গঠিত সরকারী, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান; এনজিও যারা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি বিদেশি অনুদান পায়।

  • তথ্য জানার অধিকার: সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তথ্য দেখা, কপি নেওয়া, পর্যবেক্ষণ করা, অথবা সেই তথ্যের সার্টিফায়েড কপি নেওয়ার অধিকার।


🛠️ গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ:

১. তথ্য চাওয়ার অধিকার (ধারা ৮):

  • নির্ধারিত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত বা ইলেকট্রনিকভাবে আবেদন করতে হবে।

  • আবেদনপত্রে স্পষ্টভাবে কী তথ্য চাওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করতে হবে।

২. তথ্য প্রদানের সময়সীমা (ধারা ৯):

  • সাধারণভাবে ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য দিতে হবে।

  • জীবন বা স্বাধীনতার প্রশ্ন থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য দিতে হবে।

৩. নির্ধারিত কর্মকর্তা নিয়োগ (ধারা ৫ ও ৬):

  • প্রতিটি দপ্তরে একজন তথ্য প্রদানকারী নির্ধারিত কর্মকর্তা থাকতে হবে।

  • আপীল গ্রহণের জন্য একজন আপীল কর্তৃপক্ষ-ও নিয়োগ করতে হবে।

৪. তথ্য প্রদানে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ (ধারা ৭):

নিচের তথ্য দেওয়া থেকে কর্তৃপক্ষ বিরত থাকতে পারবে:

  • রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা

  • ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

  • চলমান তদন্ত বা বিচার

  • বাণিজ্যিক গোপনীয়তা ইত্যাদি

৫. আপীল ও অভিযোগ ব্যবস্থা (ধারা ২৪–২৭):

  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য না পেলে আপীল কর্তৃপক্ষ বরাবর আপীল করা যাবে।

  • প্রয়োজনে তথ্য কমিশন বরাবর অভিযোগ করা যাবে।

🏛️ তথ্য কমিশন (ধারা ১১–২০):

  • একটি স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যারা এই আইনের বাস্তবায়ন তদারকি করে।

  • তদন্ত, জরিমানা, নির্দেশ প্রদানসহ আইনি ক্ষমতা রাখে।

⚖️ জরিমানা ও শাস্তি (ধারা ২৮):

  • তথ্য প্রদানে অযথা বিলম্ব, মিথ্যা তথ্য প্রদান বা অনিচ্ছা দেখালে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

✅ কে আবেদন করতে পারবে:

  • যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক

  • তথ্য চাওয়ার জন্য কোনো কারণ দেখানোর প্রয়োজন নেই

📄 আবেদনের ধরন:

আবেদনপত্রে নিচের তথ্য থাকতে হয়:

  • আবেদনকারীর নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা

  • কোন দপ্তর বরাবর আবেদন

  • কোন তথ্য চাওয়া হচ্ছে

  • কোন মাধ্যমে (হার্ড কপি, ইমেইল, CD) তথ্য পেতে চান

📍 ব্যবহারের কিছু উদাহরণ:

  • সরকারি প্রকল্পের বাজেট বা অগ্রগতির তথ্য জানতে

  • চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্য জানতে

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বা নীতিমালা জানতে

  • রাস্তা, স্বাস্থ্যসেবা বা সেবাদান সংস্থার কাজ জানতে